রোজা ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। এটি আত্মসংযম, ইবাদত ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম। তবে অনেকেই কিছু স্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন, যেমন—গোপনাঙ্গ শক্ত হওয়া। প্রশ্ন উঠতে পারে, এ ধরনের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন কি রোজার জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে?
গোপনাঙ্গ শক্ত হওয়া কি রোজা ভাঙার কারণ?
গোপনাঙ্গ শক্ত হওয়া (ইরেকশন) মানুষের দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি ঘুমের মধ্যে বা জেগে থাকা অবস্থায়ও হতে পারে, যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের স্বাভাবিক কোনো প্রক্রিয়ার কারণে রোজা ভাঙে না। তাই, রোজা রাখাবস্থায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে গোপনাঙ্গ শক্ত হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
কখন রোজা ভাঙতে পারে?
যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজিত হয়ে বীর্যপাত ঘটান, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাযা (পুনরায় রোজা রাখা) জরুরি হবে। তবে স্বপ্নদোষ বা অনিচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙবে না। কারণ এটি সম্পূর্ণ অজান্তে ঘটে এবং ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী এটি রোজার জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করে না।
সংক্ষেপে মূল পয়েন্ট:
✔ গোপনাঙ্গ শক্ত হলে রোজা ভাঙবে না। ✔ ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজিত হয়ে বীর্যপাত ঘটালে রোজা ভেঙে যাবে। ✔ স্বপ্নদোষ বা অনিচ্ছাকৃত বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙবে না। ✔ আত্মসংযম বজায় রাখা রোজার গুরুত্বপূর্ণ দিক।
শেষ কথা
রোজা হলো আত্মসংযম ও আল্লাহর নির্দেশ পালনের একটি ইবাদত। তাই শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার কারণে রোজা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু করা যাবে না, যা রোজার মূল বিধান লঙ্ঘন করে। সুতরাং, বিভ্রান্তি এড়িয়ে শরিয়তের সঠিক দিকনির্দেশনা মেনে রোজা রাখা উচিত।
(এই প্রতিবেদনটি ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং ধর্মীয় বিধান অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। আরও বিস্তারিত জানার জন্য আলেমদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।)