বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে এক বিরল পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে যাচ্ছে। এ সময় ‘ব্লাড মুন’ বিশ্বের বিশাল অংশকে লাল আলোয় প্লাবিত করবে। মহাজাগতিক এই বিরল দৃশ্য আমেরিকা, প্রশান্ত এবং আটলান্টিক মহাসাগরের পাশাপাশি পশ্চিম ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু অংশ থেকে দেখা যাবে। এটি ২০২২ সালের পর প্রথম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, তবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে আরেকটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে। এ ঘটনাটি তখনই ঘটে যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় অবস্থান করে এবং মাঝে অবস্থান করা পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে।
মৃত্যুর ৭ মাস পর সহকারী আল আমিনের লাশ উত্তোলন, যা বললেন তিশা
তবে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে সম্পূর্ণ অন্ধকারাচ্ছন্ন করে না। বরং চাঁদের উজ্জ্বল শুভ্র আলো একটি লালচে রঙে পরিণত হয়, কারণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে ছেঁকে আসা সূর্যালোক প্রতিফলিত হয়ে চাঁদের পৃষ্ঠে পড়ে। এই চন্দ্রগ্রহণ প্রায় ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হবে। তবে চাঁদ যখন সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে থাকবে, অর্থাৎ ‘পূর্ণগ্রাস’ পর্যায়, তা স্থায়ী হবে মাত্র এক ঘণ্টার কিছু বেশি। খবর জিও নিউজের।
আরও পড়ুন : এবার সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের দাবি হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর, যা জানা গেল
উত্তর আমেরিকায় পূর্বাঞ্চলীয় সময় রাত ১টা ৯ মিনিট (জিএমটি ৫টা ৯ মিনিট) থেকে চাঁদের একপাশ ক্ষয়প্রাপ্ত দেখাতে শুরু করবে। এরপর ২টা ২৬ মিনিট থেকে ৩টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণগ্রাস চলবে, জানিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ফ্রান্সে পূর্ণগ্রাস স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৬ মিনিট থেকে ৮টা ৩১ মিনিট (জিএমটি ৬টা ২৬ মিনিট থেকে ৭টা ৩১ মিনিট) পর্যন্ত স্থায়ী হবে, জানিয়েছে ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট অফ সেলেস্টিয়াল মেকানিক্স অ্যান্ড এফেমেরিস ক্যালকুলেশন। তবে ইউরোপের সবচেয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতেই শুধু পূর্ণগ্রাস দেখার সুযোগ মিলতে পারে, কারণ এর আগেই চাঁদ অস্ত যাবে। আর স্বাভাবিকভাবেই, এই মহাজাগতিক বিরল দৃশ্য উপভোগ করার জন্য পরিষ্কার আকাশ থাকা জরুরি।
এর দুই সপ্তাহ পর বিশ্বের কিছু অংশ থেকে একটি আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এ সময় চাঁদ আংশিকভাবে সূর্যের আলোকে আটকে দেবে। এই সূর্যগ্রহণ মার্চের ২৯ তারিখে পূর্ব কানাডা, ইউরোপের কিছু অংশ, উত্তর রাশিয়া এবং উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা থেকে দেখা যাবে।