মেয়েদের শ-রীর ছেলেদের থেকে বেশি ন’রম হয় কেন? জানলে অবাক হবেন

নারী শব্দটির উৎপত্তি (নৃ+ঈ=নারী)।
মেয়েদের নরম শরীরর- Soft Body

বিভিন্ন আসমানী কিতাব যেমন বাইবেল, কুরআন ইত্যাদি অনুসারে হাওয়া পৃথিবীর প্রথম নারী বা মানবী। ’নারী’ শব্দটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী-মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ’মেয়ে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় স্ত্রী-শিশু বা কিশোরীর ক্ষেত্রে। তাছাড়া বয়সের বাধা ডিঙিয়েও ’নারী’ শব্দটি সমগ্র স্ত্রী-জাতিকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন: ’নারী অধিকার’ দ্বারা সমগ্র স্ত্রী জাতির প্রাপ্য অধিকারকে বোঝানো হয়।

মেয়েরা গো’পনে যেসব কাজ করে থাকে, যা কখনো স্বীকার করেনা!

নারী মানেই কোমল, পেলব একটি শরীর। এটা শুধুমাত্র কোনও ধারণা নয়, বাস্তবেও তাই। মেয়েদের শরীর সাধারণত ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি নরম হয়। কিন্তু এমনটা কেন? এর পিছনে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাই বা কী? বিজ্ঞান বলছে মূলত তিনটি বিষয়ের জন্য এমনটা হয়— জিন, হরমোন এবং জীবনযাপনের ধরন।

হরমোন: মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রাধান্যের জন্য মেয়েদের ত্বক পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি তৈলাক্ত হয় এবং ত্বকের কোমল ভাব অনেক বেশি থাকে। এই কারণে সামগ্রিকভাবেই মেয়েদের শরীর নরম লাগে।

জিন (genetic): মেয়েদের কোমল শরীরের পিছনের মূল নিয়ামক কিন্তু জিন। আদিম মানব এবং মানবীরা যতদিন একসঙ্গে শিকার করেছে ততদিন নারী-পুরুষ দুই শরীরই কঠিন এবং পেশীবহুল ছিল। কৃষিভিত্তিক সভ্যতার সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের ভূমিকা পাল্টে যেতে থাকে। অত্যন্ত কঠিন শারীরিক পরিশ্রমের (physical Labor) পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত হালকা বাড়ির কাজেই অভ্যস্ত হয়ে ওঠে নারী শরীর। এই অভ্যাসই জিনবাহিত হয়েছে প্রায় দু’হাজার বছর ধরে। তাই আদিম মানবীর জিনগঠনের সঙ্গে আধুনিক মানবীদের জিনগঠনে বহু পার্থক্য, বিশেষ করে শারীরিক কোমলতার নিরিখে। যুগ যুগ ধরে এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মে বাহিত হওয়া জিনই মেয়েদের শরীরের কোমলতার মূল কারণ। এর কারণেই মেয়েদের মাংসপেশীতে ফ্যাটি টিস্যুর পরিমাণ ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি।

হাড়ের গঠন: মেয়েদের শরীরের হাড় ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি পাতলা হয়। এই কারণেও মেয়েদের শরীর অনেক বেশি নরম লাগে।

জীবনযাপন: কী ধরনের জীবনযাপন করেন একজন মহিলা তার উপরেও নির্ভর করে তার শরীর কতটা কোমল থাকবে। যে মহিলা মাউন্টেনিয়ারিং করেন তাঁর তুলনায় যিনি হোমমেকার তাঁর শারীরিক কোমলতা স্বাভাবিকভাবেই বেশি হবে।