তিনদিন আটকে রেখে নার্সকে ধ-র্ষ-ণ, ক্লিনিক মালিক গ্রেপ্তার

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় নিজ ক্লিনিকের নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পাকিস্তানি টিভি উপস্থাপিকা মাথিরার গো-প.ন ভিডিও ফাঁ-স

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সকে বিভিন্ন সময় অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন মালিক আপেল মাহমুদ। তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ওই নার্স হাসপাতালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তার গতিরোধ করে একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান আপেল মাহমুদ। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাকে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে ২৫ ডিসেম্বর তাকে শিবচর এনে একটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সাক্ষর করে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ওই নার্সকে ছেড়ে দেন আপেল মাহমুদ।

এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর নার্সের পরিবার শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় মাদারীপুর আদালতের দ্বারস্থ হয় ভুক্তভোগী পরিবার। আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক আপেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।

গ্রেপ্তার আপেল মাহমুদ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার মৃত চানমিয়া শিকদারের ছেলে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার আসামি আপেল মাহমুদের নামে এর আগেও শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ’